খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া বলেছেন, পরিবেশ ও জীবনের জন্য গাছ গুরুত্বপূর্ণ। বৃক্ষরোপণ ইতোমধ্যে সামাজিক আন্দোলনে পরিনত হয়েছে। যতটুকু বনভূমি থাকা দরকার আমাদের দেশে বনভূমির পরিমান তার চেয়ে অনেক কম রয়েছে। গ্রামাঞ্চল, ভেড়িবাঁধ, পতিত ভূমিতে বৃক্ষ রোপনের পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও বৃক্ষ রোপনের পরিমান বাড়াতে হবে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ইতিবাচক প্রভাব রাখতে প্রকৃতির অমূল্য সম্পদ বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন, আমাদের জীবন জীবিকার সাথে বৃক্ষ সম্পৃক্ত। সুন্দরবন আমাদের জন্য অর্শিবাদসরূপ। সুন্দরবনকে ইকো টুরিজমে পরিনত করতে হবে, সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ইউক্যালিপটাস বৃক্ষের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে বৃক্ষ পরিবেশ বান্ধব নয় সেগুলো রোপন থেকে বিরত থাকতে হবে। গতকাল ২১ জুলাই খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে সকাল ১০টায় ১৫ দিন ব্যাপী বিভাগীয় বৃক্ষ রোপন অভিযান ও বৃক্ষ মেলোর উদ্ভোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বৃক্ষ রোপন অভিযানের এবারের প্রতিপাদ্য হলো-“ সবুজে বাঁচি,সবুজ বাঁচাই, নগর-প্রাণ-প্রকৃতি সাজাই”।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবির, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ নিত্যরঞ্জন বিশ্বাস, অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান, খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল লতিফ, বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হুসাইন চৌধুরী, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ ও খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বশির আল মামুন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, জেলা নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ বদরুল আলম রয়েল। এর আগে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালী খুলনা শহীদ হাদিস পার্ক থেকে শুরু হয়ে মেলা স্থল সার্কিট হাউজ মাঠে এসে শেষ হয়। র্যালীতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারী, শ্রেনী পেশার মানুষ অংশগ্রহন করে। খুলনা জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান শেষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,খুলনার উদ্যেগে চাষিদের মাঝে চারা/কলম বিতরণ করা হয়। পক্ষকাল ব্যাপী এবারের মেলায় সরকারি/বেসরকারি মিলে মোট ৫৮টি স্টলে দেশী/বিদেশী বিভিন্ন ফলজ/বনজ/ওষুধী বৃক্ষের প্রদর্শন ও বিক্রয়ের ব্যবস্থ রয়েছে। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।